সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

প্রজ্ঞা ডাকছে—আপনি কি তা শুনতে পাচ্ছেন?

প্রজ্ঞা ডাকছে—আপনি কি তা শুনতে পাচ্ছেন?

‘প্রজ্ঞা কি ডাকে না? বুদ্ধি কি উচ্চৈঃস্বর করে না? সে পথের পার্শ্বস্থ উচ্চস্থানের চূড়ায়, মার্গ সকলের সংযোগস্থানে দাঁড়ায়; সে . . . দ্বারের প্রবেশ-স্থানে থাকিয়া উচ্চৈঃস্বরে কহিতেছে।’—হিতোপদেশ ৮:১-৩.

প্রজ্ঞা অমূল্য। এটা না থাকলে, আমরা একটার পর একটা ভুল করে ফেলব। কিন্তু, প্রকৃত প্রজ্ঞা কোথায় খুঁজে পাওয়া যেতে পারে? যিনি হিতোপদেশ বইটি লিখেছিলেন, তার মনে আমাদের সৃষ্টিকর্তার অদ্বিতীয় প্রজ্ঞার বিষয়টা ছিল। এ ছাড়া, একটি বিশেষ বই অর্থাৎ বাইবেলের মাধ্যমে সমস্ত মানবজাতি ঈশ্বরের সেই প্রজ্ঞা সম্বন্ধে জানতে পারে। নীচে দেওয়া বিষয়গুলো বিবেচনা করুন:

  • দ্যা ওয়ার্ল্ড বুক এনসাইক্লোপিডিয়া বলে, বাইবেল হল ‘এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বিতরিত বই। অন্য যেকোনো বইয়ের তুলনায়, এই বইটি সবচেয়ে বেশি বার এবং বেশি ভাষায় অনুবাদিত হয়েছে।’ বর্তমানে, বাইবেল সম্পূর্ণ অথবা আংশিকভাবে প্রায় ২,৬০০টা ভাষায় পাওয়া যাচ্ছে, আর তাই বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশেরও বেশি লোক এটি পেতে পারে।

  • আক্ষরিক অর্থেও প্রজ্ঞা ‘উচ্চৈঃস্বরে কহিতেছে’ বা কিছু বলছে। মথি ২৪:১৪ পদে আমরা পড়ি: “সর্ব্ব জাতির কাছে সাক্ষ্য দিবার নিমিত্ত রাজ্যের এই সুসমাচার সমুদয় জগতে প্রচার করা যাইবে; আর তখন [বর্তমান জগতের] শেষ উপস্থিত হইবে।”

এই “সুসমাচার” হল প্রকৃত প্রজ্ঞা কারণ এটা মানবজাতির সমস্যাগুলোর বিষয়ে ঈশ্বরের বিজ্ঞ সমাধানটা তুলে ধরে আর তা হল তাঁর রাজ্য। এই রাজ্য হল ঈশ্বরের সরকার, যা সমস্ত পৃথিবীর ওপর শাসন করবে আর যার অর্থ হবে বিশ্বব্যাপী একটাই সরকার। (দানিয়েল ২:৪৪; ৭:১৩, ১৪) তাই, যিশু খ্রিস্ট প্রার্থনায় বলেছিলেন: “তোমার রাজ্য আইসুক, তোমার ইচ্ছা সিদ্ধ হউক, যেমন স্বর্গে তেমনি পৃথিবীতেও হউক।” —মথি ৬:৯, ১০.

যিহোবার সাক্ষিরা দ্বীপ ও দেশ মিলিয়ে ২৩৯টা জায়গায় ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করতে পেরে কতই-না আনন্দিত! সত্যিই, প্রজ্ঞা অর্থাৎ ঐশিক প্রজ্ঞা এমনকী ‘দ্বারের প্রবেশ-স্থানে থাকিয়া উচ্চৈঃস্বরে কহিতেছে।’ আপনি কি তা শুনতে পাচ্ছেন? ▪ (g১৪-E ০৫)