সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

অর্থ ও সম্পদকে নয়, বরং লোকেদেরকে ভালোবাসুন

অর্থ ও সম্পদকে নয়, বরং লোকেদেরকে ভালোবাসুন

প্রথম রহস্য

অর্থ ও সম্পদকে নয়, বরং লোকেদেরকে ভালোবাসুন

বাইবেল কী শিক্ষা দেয়? “ধনাসক্তি সকল মন্দের একটা মূল।”—১ তীমথিয় ৬:১০.

কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে? বিজ্ঞাপনদাতারা আমাদের যা আছে, তা নিয়ে অসন্তুষ্ট থাকার জন্য আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। তারা চায় আমরা যেন অর্থ উপার্জন করার জন্য সবসময় কাজ করি, যাতে আমরা সেই অর্থ আরও নতুন, আরও ভালো, আরও বড়ো জিনিসগুলো কেনার জন্য ব্যয় করি। অর্থ হল প্রলুব্ধকর আর আমরা সহজেই এটার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়তে পারি। কিন্তু, বাইবেল এই বলে সতর্ক করে যে, যে-ব্যক্তি ধন ভালোবাসে সে কখনোই সন্তুষ্ট হবে না। “যে ব্যক্তি রৌপ্য ভালবাসে, সে রৌপ্যে তৃপ্ত হয় না; আর যে ব্যক্তি ধনরাশি ভালবাসে, সে ধনাগমে তৃপ্ত হয় না।”—উপদেশক ৫:১০.

আপনি কী করতে পারেন? যিশুকে অনুকরণ করুন আর জিনিসপত্রের চেয়ে লোকেদেরকে ভালোবাসতে শিখুন। লোকেদের প্রতি ভালোবাসার কারণে যিশু তাঁর যা-কিছু ছিল সমস্তই—এমনকী তাঁর জীবন—দিতে ইচ্ছুক ছিলেন। (যোহন ১৫:১৩) তিনি বলেছিলেন: “গ্রহণ করা অপেক্ষা বরং দান করা ধন্য হইবার বিষয়।” (প্রেরিত ২০:৩৫) আমরা যদি অন্যদের উদ্দেশে আমাদের সময় ও সম্পদকে দান করি, তাহলে লোকেরা একইভাবে সাড়া দেবে। “দেও,” যিশু বলেছিলেন, “তাহাতে তোমাদিগকেও দেওয়া যাইবে।” (লূক ৬:৩৮) যারা অর্থ ও সম্পদের পিছনে ছোটে তারা নিজেরা যাতনা ও কষ্ট ভোগ করে। (১ তীমথিয় ৬:৯, ১০) অন্যদিকে, অন্য ব্যক্তিদেরকে ভালোবাসার ও অন্যদের কাছ থেকে ভালোবাসা পাওয়ার দ্বারাই সত্যিকার সন্তুষ্টি লাভ করা যায়।

আপনি আপনার জীবনধারাকে সাদাসিধে করতে পারেন কি না, তা মূল্যায়ন করে দেখুন না কেন? আপনার যে-জিনিসগুলো রয়েছে অথবা আপনি যে-জিনিসগুলো কিনতে চান, সেগুলোর সংখ্যা কি আপনি কমাতে পারেন? আপনি যদি তা করেন, তাহলে আপনি হয়তো দেখতে পাবেন যে, আপনার কাছে জীবনের আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর যেমন, লোকেদেরকে সাহায্য করার ও ঈশ্বরকে, যিনি আপনার যা-কিছু রয়েছে সমস্তই আপনাকে দিয়েছেন, তাঁকে সেবা করার জন্য অতিরিক্ত সময় ও শক্তি রয়েছে।—মথি ৬:২৪; প্রেরিত ১৭:২৮. (w১০-E ১১/০১)

[৪ পৃষ্ঠার চিত্র]

“দেও, তাহাতে তোমাদিগকেও দেওয়া যাইবে”