সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

ঈশ্বর আঘাত পেতে পারেন—আমরা যেভাবে তাঁকে আনন্দিত করতে পারি

ঈশ্বর আঘাত পেতে পারেন—আমরা যেভাবে তাঁকে আনন্দিত করতে পারি

আপনাদের সন্তানদের শিক্ষা দিন

ঈশ্বর আঘাত পেতে পারেন আমরা যেভাবে তাঁকে আনন্দিত করতে পারি

তুমি কি কখনো এতটাই আঘাত পেয়েছিলে যে, তুমি কেঁদে ফেলেছিলে? a সম্ভবত আমরা সকলেই পেয়েছি। তবে, কখনো কখনো আমরা হয়তো শারীরিকভাবে কষ্ট পাই না। কেউ হয়তো আমাদের সম্বন্ধে এমন খারাপ কথা বলতে পারে, যা সত্য নয়। সেটাও আমাদের আঘাত দিতে পারে, তাই না?— ঈশ্বরও আঘাত পেতে পারেন, যখন তাঁর সম্বন্ধে মিথ্যা কথা বলা হয়। এসো আমরা দেখি যে, কীভাবে আমরা ঈশ্বরকে কষ্ট দেওয়ার পরিবর্তে, তাঁকে আনন্দিত করতে পারি।

বাইবেল বলে যে, কিছু ব্যক্তি যারা ঈশ্বরকে ভালোবাসে বলে দাবি করেছিল, তারা “তাঁহাকে মনঃপীড়া” দিয়েছিল বা তাঁর মনে আঘাত দিয়েছিল। হ্যাঁ, ঈশ্বরকে ‘তাহারা অসন্তুষ্ট করিয়াছিল [‘কষ্ট দিয়েছিল,’ বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন]’! এসো আমরা দেখি, যিহোবা আমাদের যা করতে বলেন, তা না করলে কেন তিনি আঘাত পান।

প্রথমে যিহোবা পৃথিবীতে যে-দুই জন ব্যক্তিকে সৃষ্টি করেছিলেন, তারা তাকে অনেক কষ্ট দিয়েছিল। এই দুই জন ব্যক্তিকে পৃথিবীতে এক পরমদেশ রাখা হয়েছিল, যেটাকে ‘এদন উদ্যান’ বলা হতো। কোন দুই জন ব্যক্তিকে রাখা হয়েছিল?— হ্যাঁ, প্রথমে আদমকে আর এর কিছু সময় পরে হবাকে। এসো আমরা দেখি, তাদের কোন কাজ যিহোবাকে কষ্ট দিয়েছিল।

যিহোবা তাদেরকে সেই উদ্যানে রাখার পর বলেছিলেন, যেন তারা সেটার যত্ন নেয়। এ ছাড়া, তিনি তাদের এও বলেছিলেন, তারা সন্তান জন্ম দিতে পারবে এবং সেই উদ্যানে একসঙ্গে চিরকাল বেঁচে করতে পারবে। কিন্তু, আদম ও হবার সন্তান হওয়ার আগেই সাংঘাতিক একটা ঘটনা ঘটেছিল। তুমি কি জান ঘটনাটা কী?— এক স্বর্গদূত প্রথমে হবাকে ও পরে আদমকে যিহোবার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে প্ররোচিত করেছিল। এসো আমরা দেখি, কীভাবে তা ঘটেছিল।

সেই স্বর্গদূত কথা বলার জন্য একটা সাপ বা সর্পকে তার সামনে উপস্থিত করেছিল। সেই সর্প হবাকে বলেছিল যে, সে “ঈশ্বরের সদৃশ” হয়ে উঠবে আর এই কথা হবার ভালো লেগেছিল। তাই সর্প তাকে যা করতে বলেছিল, হবা সেটাই করেছিল। তুমি কি জান, সেটা কী?

হবা সেই গাছ থেকে ফল পেড়ে খেয়েছিল, যে-গাছের ফল খেতে যিহোবা আদমকে নিষেধ করেছিলেন। হবাকে সৃষ্টি করার আগে, ঈশ্বর আদমকে বলেছিলেন: “তুমি এই উদ্যানের সমস্ত বৃক্ষের ফল স্বচ্ছন্দে ভোজন করিও। কিন্তু সদসদ্‌-জ্ঞানদায়ক যে বৃক্ষ, তাহার ফল ভোজন করিও না, কেননা যে দিন তাহার ফল খাইবে, সেই দিন মরিবেই মরিবে।”

হবা সেই আইনটা জানত। কিন্তু, সে সেই গাছটার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়েছিল আর লক্ষ করেছিল যে, এটা ‘সুখাদ্যদায়ক ও চক্ষুর লোভজনক, . . . তখন সে তাহার ফল পাড়িয়া ভোজন করিল।’ পরে সে আদমকে সেই ফল দিয়েছিল আর সেও তা ‘ভোজন করিয়াছিল।’ আদম কেন তা করেছিল বলে তোমার মনে হয়?— কারণ আদম যিহোবার চেয়ে হবাকে বেশি ভালোবেসেছিল। আদম ঈশ্বরকে নয় বরং হবাকে খুশি করতে চেয়েছিল। কিন্তু, অন্য যেকারো চেয়ে যিহোবার প্রতি বাধ্য হওয়া আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ!

তোমার কি সেই সাপ বা সর্পের কথা মনে আছে, যেটা হবার সঙ্গে কথা বলেছিল? ঠিক যেভাবে একজন ব্যক্তি একটা পুতুলকে সামনে রেখে কথা বলতে পারে, তেমনই অন্য কেউ সেই সাপকে সামনে রেখে কথা বলছিল। সর্পকে সামনে রেখে কে কথা বলছিল?— এটা ছিল “সেই পুরাতন সর্প, যাহাকে দিয়াবল [অপবাদক] এবং শয়তান [বিপক্ষ] বলা যায়।”

তুমি কি জান যে, কীভাবে তুমি যিহোবাকে আনন্দিত করতে পারো?— সবসময় তাঁর প্রতি বাধ্য থাকার চেষ্টা করে, তুমি তা করতে পারো। শয়তান বলে যে, সে নিজের ইচ্ছেমতো সবাইকে কাজ করাতে পারে। তাই যিহোবা আমাদেরকে জোরালো পরামর্শ দেন: “বৎস, জ্ঞানবান হও; আমার চিত্তকে আনন্দিত কর; তাহাতে যে আমাকে টিট্‌কারি দেয়, তাহাকে উত্তর দিতে পারিব।” শয়তান যিহোবাকে টিটকারি দেয় বা বিদ্রূপ করে। সে বলে যে, সে সকলকে ঈশ্বরের সেবা করা থেকে সরিয়ে নিতে পারে। তাই, যিহোবার বাধ্য হয়ে এবং তাঁর সেবা করে, তাঁকে আনন্দিত করো! তুমি কি তা করার জন্য কঠোর চেষ্টা করবে?—▪ (w১৩-E ০৯/০১)

[১৫ পৃষ্ঠার চিত্র]

তোমার বাইবেল থেকে পড়ো

গীতসংহিতা ৭৮:৪০, ৪১

আদিপুস্তক ১:২৬-২৮; ২:১৫-১৭; ৩:১-৬

প্রকাশিত বাক্য ১২:৯; হিতোপদেশ ২৭:১১

[পাদটীকা]

a আপনি যদি সন্তানের সঙ্গে এই প্রবন্ধটি পড়েন, তাহলে ড্যাশগুলো আপনাকে একটু থামতে ও সন্তানকে তার মনের কথা প্রকাশ করার জন্য উৎসাহ দেওয়ার বিষয়টা মনে করিয়ে দেয়।

[১৪ পৃষ্ঠার চিত্র]

[১৫ পৃষ্ঠার চিত্র]